১২ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত তিতাস উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে কর্মহীন মানুষের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়। হরিপুর, রতনপুর, কদমতলী, পোড়াকান্দি, আলীনগর, দুলারামপুর ও মাছিমপুরসহ ৭ টি গ্রামের মানুষের মাঝে এই খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।
ইতালি প্রবাসী বিল্লাল আবদীন সরকারের অর্থায়নে এই কার্যক্রমের তত্ত্বাবধান করেন তার মামা মোঃ দুলাল মিয়া সরকার, ছোট ভাই ইতালি প্রবাসী নুর নবী সরকার ও হাসিব হাসান খান প্রমুখ।
আত্মীয় স্বজন ও আশেপাশের পড়শীদের ৪০ জনের প্রত্যককে ১ বস্তা করে চাউল প্রদান করা হয়। অন্যদের ১০ কেজি করে চাউল প্রদান করা হয়।
সারাবিশ্ব যখন প্রাণঘাতী করোনার আঘাতে জর্জরিত বাংলাদেশেও এর ছোঁয়া পড়েছে। এর ছোঁবল থেকে বাঁচতে আবদ্ধকরণ করা হয়েছে পুরো বাংলাদেশকে। ফলে বেকার হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকাটাই এখন কষ্টকর।
এ প্রসঙ্গে বিল্লাল আবেদীন সরকারের মামা দুলাল মিয়া বলেন, আমার ভাগিনার প্রচেষ্টায় খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে পেরে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। কিছু দিনের জন্য হলেও কয়েকশ মানুষের আহার জোগাড় করতে পেরে আমার ভাগিনা বিল্লালের মন শান্তি পেয়েছে।
বিল্লাল আবেদীনের ছোট ভাই নুর নবী বলেন, আমি ইতালি থেকে এসেছি এক মাস হবে। ইতালিতে কোবিড-১৯ ভাইরাস মহামারী আকার ধারণ করেছে। আমার বড় ভাইসহ অনেকেই নিরাপদে আছেন। এই জন্য মহান আল্লাহর দরবারে লাখো কুটি শুকরিয়া আদায় করছি।
বিল্লাল আবদীনের মা, ছেলের এই দানে আনন্দে আত্মহারা। তিনি বলেন, আমার ছেলের কোন সমস্যা হয়নি এতেই আমি খুশি। প্রতিদিনই চেষ্টা করব মাবুষকে সাহায্য করতে যাতে আমার ছেলের এই দানের উছিলায় যেন ভাল থাকে।